প্রথম ইনিংসে খোঁচা মেরে নার্ভাস নাইনটিতে আউট হয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবাল।
করেছিলেন ৯০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ইতোমধ্যে সত্তর পেরিয়ে গেছেন। টেস্ট যখন ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছে, তবে সেঞ্চুরি অংক কেন সমৃদ্ধ করা থেকে বঞ্চিত থাকবেন তামিম? যদিও আরো অনেক রান করতে হবে।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় তামিমের অনবদ্য ইনিংসে ভর করে শ্রীলংকার দেওয়া লিড ছুঁতে চলেছে বাংলাদেশ। আর দরকার মাত্র ৭ রানের। এতোক্ষণে এই ৭ রান পেরিয়ে লিড নেওয়া হয়েই যেত। তবে এবার বাঁধা হয়ে দাঁড়াল বৃষ্টি। যার কারণে ম্যাচ আপাতত বন্ধ রয়েছে।
২ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১১০ রান। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ৫৪১ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে শ্রীলংকা ৮ উইকেটে ৬৪৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা দেয়।
ফলে ১০৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। সেই ট্রায়াল থেকে মাত্র ৭ রান দূরে বাংলাদেশ। তবে এরইমধ্যে চলে গেছে ২ উইকেট।
আজ ব্যাট হাতে নেমেই মারমুখী হয়েছিলেন তামিম। চার-ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন। টেস্ট ফরম্যাটে বলের চেয়ে রান বেশি ছিল একসময় তার।
কিন্তু অপরপ্রান্তের দুই ব্যাটসম্যান অপরপ্রান্তের দুই ব্যাটসম্যান সাইফ ১ ও শান্ত শূন্য রানে ফিরলে কিছু অপ্রস্তুত হয়ে গেছেন তামিম।
মারমুখী ভূমিকা থেকে কিছুটা সড়ে আসেন। ক্যারিয়ারের ৩০তম ফিফটি পূরণ করেন ৫০ বলে।
অবশ্য বলতে গেলে জীবন পেয়েছেন একটি। ইনিংসের ১১তম ওভারে তামিম তখন ৩৭ বলে ২৯ রানে অপরাজিত।
ধনঞ্জয়ার প্রথম তিন ডেলিভারি ভালোভাবে খেলতে পারেননি তামিম। তিন বলে কোনো রান হয়নি।
চতুর্থ বলে সজোরে ব্যাট চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হন। কভারে খেলতে গিয়ে সিলি পয়েন্টে ক্যাচ উঠে যায়। যা উইকেটরক্ষক ডিকভালে গ্লাভসবন্দি করে উল্লাসে ফেটে পড়েন। সফ্ট সিগনালে আউট দেন ফিল্ড আম্পায়ার।
কিন্তু তামিমের জোর দাবি, বল তালুবন্দি হওয়ার আগে মাটি ছুঁয়েছে। সিদ্ধান্ত চলে যায় থার্ড আম্পায়ের কাছে। বারবার রিপ্লে দেখে থার্ড আম্পায়ের সবুজ সংকেত দেন। বল তালুবন্দি হওয়ার আগে মাটি ছুঁয়েছে ঠিকই। এ যাত্রায় বেঁচে ফেরেন তামিম।
৯৮ বলে ১০ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কার মারে ৭৪ রানে অপরাজিত আছেন তামিম। অপরপ্রান্তে ধীরগতিতে ব্যাট করছেন অধিনায়ক মুমিনুল। উইকেট বাঁচিয়ে তামিমকে সঙ্গ দেওয়াই তার কাজ। ৮৬ বল মোকাবিলা করে ২৩ রান করেছেন মুমিনুল।